আন্তর্জাতিক কোচ হতে চায় মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক

মাহমুদউল্লাহ এখন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার। মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক সেই পর্যায়ে পৌঁছেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার উপস্থিতি এখন শুধু টেস্টে সীমিত। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের হয়ে খেলা এই দুই ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। তারা নিজেরা এখনও স্পষ্ট কিছু বলেননি। তবে বিসিবি সভাপতি নবনির্বাচিত আমিনুল ইসলাম বুলবুলের কাছ থেকে কিছু ইঙ্গিত মিলেছে। তিনি জানিয়েছেন, এই দুজনই আন্তর্জাতিক কোচ হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

রোববার বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় বিসিবি সভাপতি এ তথ্য জানান।

মাহমুদউল্লাহ গত মার্চে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। এর আগেই তিনি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। অন্যদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যর্থতার পর মুশফিকুর রহিমও মার্চে ওয়ানডে থেকে সরে দাঁড়ান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি তিনি আগেই ছেড়ে দিয়েছিলেন। ৩৮ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান এখন শুধু টেস্ট ক্রিকেট খেলছেন, তবে সেখানেও তার পারফরম্যান্স আশানুরূপ নয়।

নতুন বিসিবি সভাপতিকে সরাসরি এই দুই খেলোয়াড় সম্পর্কে প্রশ্ন করা না হলেও, তিনি বিসিবিতে কর্মরত সাবেক ক্রিকেটারদের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন। আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদীন, হাবিবুল বাশার—এমন বেশ কয়েকজন সাবেক অধিনায়ক দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেট বোর্ডে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট কি তাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা পেয়েছে?

এই প্রশ্নের উত্তরে বিসিবি সভাপতি বলেন, অতীতের সমালোচনা না করে তিনি ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করতে চান, যাতে ক্রিকেটাররা খেলোয়াড়ি জীবন শেষে সংগঠক হিসেবেও সফল হতে পারেন।

তিনি বলেন, “নান্নু ভাই (মিনহাজুল আবেদীন) বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। আকরাম ভাই সেরা অধিনায়ক, লিপু ভাই (হাবিবুল বাশার) কিংবদন্তি। তাদের মতো অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের আমরা সম্পদ হিসেবে দেখি। তারা মাঠ, উইকেট, ড্রেসিং রুম—সবকিছুই ভালো জানেন। এমন বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগানো জরুরি। তবে একজন ভালো খেলোয়াড় সরাসরি ভালো প্রশাসক বা কোচ নাও হতে পারেন। সে জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।”

এ প্রসঙ্গে তিনি মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার আলোচনার কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমি বিসিবিতে যোগ দেওয়ার আগেই তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে আন্তর্জাতিক কোচ হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমরা ক্রিকেট বোর্ডের মাধ্যমে তাদের জন্য প্রশিক্ষণ ও শিক্ষামূলক প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করব।”