মেসির ৬ গোলের থ্রিলারে মায়ামিকে কাঁপিয়ে দিল

একটি বিরল নিষ্প্রভ দিন অফিসে—ম্যাচটি দেখলে এই কথাটি লিওনেল মেসির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
ইন্টার মায়ামির হয়ে মেসি সম্পূর্ণ ৯০ মিনিট খেললেও তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারলেন না। তাঁর নেয়া পাঁচটি শটের মধ্যে তিনটিই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়, সাতবার ড্রিবলিং চেষ্টার মধ্যে চারবারই ব্যর্থ হন, পাসিংয়েও স্বাভাবিক দক্ষতা দেখাতে পারেননি, এমনকি সহখেলোয়াড়দের গোল করার সুযোগও তৈরি করে দিতে দেখা গেল না।
মেসির এমন নিষ্ক্রিয়তার দিনে মায়ামিও জয় পায়নি। মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) এই ম্যাচে সান হোসের সাথে তাদের গোলশূন্য ড্র হয় ৩-৩ গোলে। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার এই ক্লাবটির পুরো নাম সান হোসে আর্থকোয়েকস, তবে সংক্ষেপে এদের ‘কোয়েকস’ (যার বাংলা অর্থ ‘ভূমিকম্প’) নামে ডাকা হয়।
নিজেদের মাঠ পেপ্যাল পার্কে মেসির উপস্থিতিতে সান হোসে প্রথমার্ধেই তিন গোল করে মায়ামিকে কাঁপিয়ে দেয়। ক্রিস্তিয়ান আরাঙ্গো, বো লেরো এবং ইয়ান হারকেস এই গোলগুলো করেন।
তবে দুবার পিছিয়ে পড়ার পর আর্জেন্টাইন উইঙ্গার তাদেও আলেন্দের জোড়া গোলে মায়ামি হার এড়াতে সক্ষম হয়।
মায়ামির প্রথম গোলটি করেন উরুগুয়েয়ান ডিফেন্ডার মাক্সিমিলিয়ানো ফালকন, ম্যাচের মাত্র ৩৫ সেকেন্ডে, যা ক্লাবের ইতিহাসে তৃতীয় দ্রুততম গোল।
গত বছর আগস্টে লুইস সুয়ারেজ ৩১ সেকেন্ডে দ্রুততম গোল করে রেকর্ড গড়েছিলেন, যা ২০২২ সালের অক্টোবরে লিওনার্দো কাম্পানার ৩৩ সেকেন্ডের গোলকে ছাড়িয়ে যায়।
ব্যক্তিগত কারণে সুয়ারেজ ছুটিতে থাকায় মায়ামির শুরুর একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন আলেন্দে। ২৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডই শেষ পর্যন্ত দলকে ১ পয়েন্ট এনে দেন।
আজকের ড্রয়ের পর এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলে পঞ্চম স্থানেই রয়েছে মায়ামি। ১২ ম্যাচে ৬ জয়, ৪ ড্র এবং ২ হার নিয়ে তাদের সংগ্রহ ২২ পয়েন্ট। অন্যদিকে, ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সের সান হোসে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে আছে।
সাপোর্টারস শিল্ড জয়ের লড়াইয়েও কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে মায়ামি। দুই কনফারেন্স মিলিয়ে ৩০ দলের পয়েন্ট তালিকায় ডেভিড বেকহামের মালিকানাধীন ক্লাবটি বর্তমানে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে।